ডেস্ক রিপোর্ট:
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল করে ঘর নির্মাণ করে ছাত্র-ছাত্রীদের খেলাধুলার পরিবেশ বিঘ্ন সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে আবদুল বারিকের বিরুদ্ধে। এ মাঠ দখলমুক্তের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাফি উদ্দিন নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যান্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা।
অভিযুক্ত আবদুল বারিক উপজেলার নোয়াবাদ ইউনিয়নের ঝাউতলা গ্রামের বাসিন্দা।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে স্কুল সংলগ্ন রাস্তায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের একটি মাত্র মাঠ আছে যেখানে আমরা ভর্তি হওয়ার পর থেকেই খেলাধুলা করে আসছি। সম্প্রতি কতিপয় দখলদাররা মাঠের চারদিকে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে দখল করে নিয়েছে।
এখন আর খেলাধূলা করতে পারছি না।
মানববন্ধন থেকে শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি দাবি জানায়, বিদ্যালয়ের মাঠটি উন্মুক্ত করা হোক। যাতে করে ছাত্র-ছাত্রীরা আগের মতো খেলাধুলা করতে পারে।
অভিভাবক সুমাইয়া আক্তার বলেন, বাচ্চাদের খেলার মাঠ দখল হয়ে গেছে। এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। এর চাইতে বড় বিষয় হলো বাচ্চারা স্কুলে খুবই নিরাপত্তাহীনতায় আছে। এর আগেও দখলদার তার আত্মীয় এক সেনা সদস্যের হুকুমে বিদ্যালয়ে কয়েকবার হামলা করেছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে সন্তানকে স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দিতে হবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমার প্রতিপক্ষ আব্দুল বারিক সপরিবারে দাঙ্গা ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। বিগত ২০১৪ সালে মাঠের জমি নিয়ে প্রতিপক্ষ ও আমাদের মাঝে আদালতে বাটোয়ারা মামলা চলমান। এমন কি এ মাঠে প্রতিপক্ষের প্রবেশাধিকার আদালত কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তারা আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক মাঠের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ভিতরে স্থাপনা তৈরি করেছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, খেলার মাঠ দখলসহ বিদ্যালয়ে হামলার মূলহোতার আত্মীয় এক সেনা সদস্য। তার নির্দেশেই এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলছে।
অভিযুক্ত আব্দুল বারিক জানান, এ সম্পত্তি আমি বিদ্যালয়ের দাতার কাছ থেকে বৈধভাবে ক্রয় করেছি। আমার সকল বৈধ কাগজপত্র আদালতে জমা দিয়েছি। আবার স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সামাজিক শালিশের মাধ্যমে আমাকে বৈধতা দিয়েছে। এমন কি এই জমি দাতা আমাকে দখল বুঝিয়ে দিলে দীর্ঘ ৪০ বছর ভোগ দখলে ছিলাম। কিন্তু কিছু পূর্বে আমিনুলগংরা জোরপূর্বক মাঠের নামে জমিটি দখল করে নেয়।
করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান জানান, আদালতের কোনো নিষেধাজ্ঞার কপি আমরা পাইনি। নিষেধাজ্ঞার কপি হাতে পেলে দ্রত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
Leave a Reply